ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের চলমান সামরিক অভিযানের বিরুদ্ধে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বিক্ষোভকারীরা অবিলম্বে গাজায় সামরিক অভিযান বন্ধ এবং ত্রাণ ও মানবিক সহায়তার প্রবাহ স্বাভাবিক করার দাবি জানাচ্ছেন।
শুক্রবার (৭ এপ্রিল) যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটনে হাজার হাজার মানুষের বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে মুসলিম, খ্রিস্টান এবং ইহুদি শান্তিকামী সংস্থার প্রতিনিধিরা অংশ নেন। প্যালেস্টাইনিয়ান ইউথ মুভমেন্ট, দ্য পিপল’স ফোরাম, জিউয়িশ ভয়েস ফর পিস এবং আনসার কোয়ালিশনের উদ্যোগে আয়োজিত এই মিছিল ওয়াশিংটনের গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করেছে।
এদিকে, তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারা এবং বিভিন্ন শহরে হাজার হাজার মানুষ একই দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন। বিক্ষোভকারীরা মার্কিন দূতাবাসের সামনে সমাবেশ করে ‘মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ নিপাত যাক’ এবং ‘ইসরায়েলের দখলদারি নিপাত যাক’ স্লোগান দেন। তুরস্কে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ও রাজনৈতিক সহায়তা অব্যাহত রাখার প্রতিবাদ জানিয়ে এই বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশেও বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাজধানী ঢাকায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা গাজায় সামরিক অভিযান বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেন। বাংলাদেশের ছাত্ররা যুদ্ধাপরাধ হিসেবে গাজায় ইসরায়েলের ধ্বংসযজ্ঞের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানান। ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফ্রান্সিস ফরিদ জানান, “গাজায় যা হচ্ছে তা সরাসরি যুদ্ধাপরাধ।”
মরক্কোতে সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাবাতে লক্ষাধিক মানুষের সমাবেশ হয়, যারা ইসরায়েল এবং যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন। সমাবেশে অংশ নেয়া মোহাম্মদ তৌসি বলেন, “এখন আর এটি যুদ্ধের পর্যায়ে নেই। ইসরায়েল গাজাকে মানচিত্র থেকে মুছে ফেলার চেষ্টা করছে।”
২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযান চলতে থাকে, যা ১৫ মাসেরও বেশি সময় ধরে অব্যাহত রয়েছে। সামরিক অভিযান বন্ধের জন্য জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে বারবার আহ্বান জানানো হলেও, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু স্পষ্ট করেছেন যে হামাসকে পুরোপুরি দুর্বল করা এবং জিম্মিদের মুক্ত করা পর্যন্ত এই অভিযান চলবে।